Class 9 Buddhism Assignment 10th week published by DSHE. Class 9 Buddhism dhromo Assignment Somadhan. নবম শ্রেণীর দশম সপ্তাহের বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সমাধান। Hinduism Assignment Answer & Solution 10th week. 10th-week assignment Question and Solution is available at Upodesh.com. Buddho dhromo protect Buddhism religion and moral education in 10th week Class 9. So we help you to Solve 8th week Buddhism  Assignment. Class 9 Buddhism Assignment 10th Week & Answer.

[Ads]

Contents

Class 9 Buddhism 10th Week Assignment 2021

Our Education system has come to a standstill due to the Covid-19. So educational institutions have closed for a long time and our schools are not able to run education. In this situation not possible to take academic exams in school. In the case of the Government take a decision to start all students of class 6 to 9 assignment from 1st November to 15 December in the option of Annual Examination. Class 6 Assignment 4th Week for Bangla, English, Math, Islam & Moral Studies, Hinduism, Buddhism, Christianity Religion, Information Communication Technology (ICT), Social Science subjects are available here. বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইসলাম ও নৈতিক অধ্যয়ন, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, খ্রিস্টান ধর্ম, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়সমূহের জন্য ষষ্ট শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট। ক্লাস সিক্সের প্রথম থেকে ষষ্ঠ সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট।

[Ads]

Class 9 Buddhism Assignment 

Bangla, English, Math, Islam & Moral Studies, Hinduism, Buddhism, Christianity Religion, Information Communication Technology (ICT), Social Science

In addition, The education system was disrupted this year due to the pandemic situation. As a result, educational institutions could not conduct any final examinations. In the current context, the Ministry of Education has taken special measures to keep the education system active.  Therefore, the Bangladesh Board of Education has decided, that students will have to submit assignments instead of exams. So, consistently they need to finish in any event 3 tasks in three subjects.

[Ads]

https://upodesh.com/

Class 9 Buddhism Assignment Question & Answer 10th Week

Class-9-Boddho

বৌদ্ধ ধর্মের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

 

সিদ্ধার্থ গৌতমের বাল্য জীবনের বিভিন্ন ঘটনা থেকে তাঁর চরিত্রের যে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছি তা ক্রমানুসারে ও নিজের ভাষায় নিম্নে লিপিবদ্ধ করলাম :

 

ভূমিকা:

বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ কেবল মাত্র যে একজন ধর্ম প্রচারক ছিলেন টা নয়, তিনি একজন মহান দার্শনিক ছিলেন। বহুবিধ ঐতিহাসিক গবেষণা ও পর্যালােচনা এর মাধ্যমে আমরা তার জীবন সম্পর্কে নানান তথ্য সূত্র লাভ করেছি। আজকে আমরা সিদ্ধার্থ গৌতমের বাল্যজীবনের চারটি ঘটনা হলকর্ষণউৎসব, শিকারে যাওয়া, রােহিণী নদীর পানি সংকটের সমাধান, তীর বিদ্ধ হাসের ঘটনা এ সম্পর্কে জানব। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হলাে:

হলকর্ষণ উৎসব:

একবার নগরে হলকর্ষণউৎসব হচ্ছে। ঐদিন রাজা, অমাত্যবর্গ ও সন্ত্রান্তরা নিজের হাতে হাল বা লাঙল চালনা করে সারা বহুৱের কৃষিকাজের শুভসূচনা করতেন। রাজা কুমারকে নিয়ে উৎসবে যােগ দিলেন। এখানেই কুমার প্রত্যক্ষ করলেন, হলকর্ষণে ভেজা মাটি থেকে বেরিয়ে পড়া পােকামাকড়লােকে পাখিরা খেয়ে যাচ্ছে, ব্যাঙ এসে খাচ্ছে। একটা সাপ এসে ব্যাটিকে গিলে ফেলল। আবার কোথা থেকে একটা চিল উড়ে এসে সাপটিকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল।

চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলাে সিদ্ধার্থকে উদ্বিগ্ন করে তুলল। বেঁচে থাকার জন্যে মানুষ ও প্রাণিকুলের এ নিষ্ঠুরতার কথা ভাবতে ভাবতে তিনি কোলাহল থেকে নির্জনে চলে গেলেন। এক বিশাল জমুবৃক্ষের ছায়ায় বসে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হলেন। এদিকে হলকর্ষণউৎসব শেষ, এবার সকলের বাড়ি ফেরার পালা। কিন্তু কুমার কোথায়! চারদিকে খোঁজার পরে তাঁকে পাওয়া গেল জম্বুবৃক্ষের ছায়ায় ধ্যানমগ্ন। জ্যোতির্ময় আভায় উদ্ভাসিত কুমারেরঅবয়ব। রাজা ও অন্যেরা এদৃশ্য দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়েন। অভাবিত এঘটনায় রাজাসহ সকলে বিহ্বল হয়ে পড়েন। রাজা শুদ্ধোদন পুনরায় স্মরণ করলেন ঋষি অসিতের ভবিষ্যদ্বাণী। ধ্যানভঙ্গ হলে রাজা পুত্রকে নিয়ে প্রাসাদে ফিরে এলেন।

শিকারে যাওয়া:

ভাষা, শাস্ত্র ও চৌষট্টি প্রকার লিপিবিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জন করেন। বেদ, পুরান, ইতিহাস, যােগ, বৈশেষিক, ন্যায়, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা ইত্যাদি শাস্ত্রও আয়ত্ত করলেন। একই সঙ্গে রাজনীতি, মৃগয়া, অশ্বচালনা, ধনুর্বিদ্যা, রথচালনা ইত্যাদি ক্ষত্রিয়চিত দক্ষতাও আয়ত্ত করলেন সাফল্যের সঙ্গে। তবে তিনি কিছু ব্যতিক্রম আচরণ দেখালেন। যেমন অশ্বচালনায় জয়লাভ করার পূর্বক্ষণে ঘােড়ার রশি ছেড়ে দিলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী দেবদত্তকে বিজয়ী হওয়ার সুযােগ দিলেন। একবার মৃগয়ায় গিয়ে হাতের কাছে পেয়েও শিকার ছেড়ে দিলেন। এতে সঙ্গীরা বিরক্ত হলেও অসহায় হরিণশিশুর প্রাণরক্ষা হওয়ায় তিনি আনন্দিত হলেন।

 

রােহিণী নদীর পানি সংকটের সমাধান :

বাল্যকালেই সিদ্ধার্থের অনন্য প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। সিদ্ধার্থ তার মেধা দিয়ে কপিলাবস্তু ও দেবদহ রাজ্যের মধ্যে প্রবাহিত রােহিনী নদীর পানি নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান করেন। রােহিনী নদীতে একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষ পড়ে বাধের সৃষ্টি করে। ফলে সকল পানি কপিলাবস্তুর দিকে প্রবাহিত হতে থাকে এবং দেবদহ নদীর পানি থেকে বঞ্চিত হয়। উভয় নগরের অধিবাসীরা অনেক চেষ্টা করেও বৃক্ষটি স্থানচ্যুত করতে পারছিলেন না।

অনেক মানুষের কোলাহল শুনে নিকটেই ক্রীড়ারত সিদ্ধার্থ দলবলসহ ঐস্থানে উপস্থিত হলেন। শাক্য যুবকেরা অনেক চেষ্টা করেও বৃক্ষটি নাড়াতে সমর্থ হলাে না। তখন সিদ্ধার্থ গাছটির অগ্রভাগ ধরে স্রোতের অনুকূলে জোরে টান দিলেন, এতে গাছটির যে-অংশ মাটিতে দেবে গিয়েছিল সে-অংশ মাটিসহ আড়াআড়ি অবস্থান থেকে লম্বালম্বি অবস্থানে সরে গিয়ে জলের প্রবাহ উন্মুক্ত হয়। কুমার ক্রমে কৈশাের ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে উপনীত হন।

 

তীর বিদ্ধ হাসের ঘটনা :

চপলতা ও উদ্দামতা এ-বয়সের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সিদ্ধার্থের আচরণে ভিন্নতা দেখা গেল। প্রশান্ত চিত্তে তিনি প্রায়ই প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতেন। কখনাে কখনাে সাথিদের ছেড়ে দূরে একান্তে বসে গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। একদিন এভাবেই উদ্যানে বসে কুমার প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভােগ করছিলেন।

নীল আকাশে একদল সাদা হাঁস উড়ে যাচ্ছিল। সিদ্ধার্থ মুগ্ধ হয়ে ঐ সুন্দর দৃশ্য দেখছিলেন। হঠাৎ তীরবিদ্ধ হয়ে একটি সাদা হাঁস তার কোলে এসে পড়ল, রক্তাক্ত হাঁসটি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তীরবিদ্ধ হাঁসের কষ্ট দেখে সিদ্ধার্থের অন্তর করুণায় প্লাবিত হলাে। তিনি সযত্নে তীরটি ছাড়িয়ে নিলেন। সেবা শুশ্রষা করে হাঁসটিকে বাঁচিয়ে তুললেন। এমন সময় আরেক রাজকুমার দেবদত্ত এসে হাঁসটি দাবি করল। বলল, কুমার, হাঁসটি আমার, আমি তীরবিদ্ধ করেছি। হাঁসটি আমাকে ফিরিয়ে দাও।

সিদ্ধার্থ হাঁসটি ফিরিয়ে দিলেন না। তিনি বললেন, তুমি হাঁসটিকে তীরবিদ্ধ করে হত্যা করতে চেয়েছিলে। আমি ওর জীবন বাঁচিয়েছি। কার অধিকার বেশি? যে জীবন হরণ করতে চায়, তার? নাকি জীবন যে দান করেছে তার? দেবদত্ত কুমারের যুক্তি মানলেন ন্য। এই বিবাদ বিচারের জন্যে প্রবীণদের কাছে উত্থাপন করা হলাে। প্রবীণরা সিদ্ধার্থ গৌতমের যুক্তিকে সমর্থন করলেন, বললেন, “কুমার যথার্থই বলেছে। যে জীবন দান করেছে হাঁসের ওপর তার অধিকারই বেশি।” সিদ্ধার্থ হাঁসটি সুস্থ করে তুলে উন্মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিলেন। সিদ্ধার্থ গৌতমের মধুর ব্যবহার, উদারতা, মৈত্রীপূর্ণ আচরণ, প্রজ্ঞাময় দূরদৃষ্টি রাজঅন্তঃপুরবাসী ও প্রজাসাধারণের অন্তর জয় করেছিল। তিনি হয়ে উঠলেন সকলের প্রিয়।

 

উপসংহার

গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক। তাঁর জীবনদর্শনই বৌদ্ধধর্মের মূল ভিত্তি। জন্ম থেকে মহাপরিনির্বাণ লাভ পর্যন্ত সুদীর্ঘ আশি বছরব্যাপী জীবনে বুদ্ধ নৈতিকতা ও মানবতার বহু বিরল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। রাজকুমার হয়েও মানুষের দুঃখমুক্তির উপায় অনুসন্ধানের জন্য তিনি গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসজীবন গ্রহণ করেন। তারপর ছয় বছর কঠোর সাধনায় লাভ করেন বুদ্ধত্ব। আবিস্কার করেন দুঃখ মুক্তির পথ। সর্বজীবের কল্যাণের জন্য তিনি প্রচার করেন তাঁর নবলব্ধ ধর্ম এবং প্রদর্শন করেন দুঃমুক্তির সেই পথ। তাঁর জীবন ছিল মৈত্রী-করুণার রসে সিক্ত। জীবপ্রেম, অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করে তিনি মহাকারুণিক বুদ্ধ নামে খ্যাত হন। তাঁর মহাকরুণার বাণী পৃথিবীর বৃহত্তর থেকে অতি ক্ষুদ্র প্রাণীকেও রক্ষার প্রেরণা যােগায়।

 

https://upodesh.com/

I Boss Host BD