Bangla Assignment Class 7 / Seven 1st Week. class 7 Bangla assignment solution. class 7 bangla assignment answer 2020. class 7 bangla assignment answers. class 7 Bangla assignment 2020. class 7 bangla assignment 1st week. class 7 Bangla assignment 1. assignment class 7 science answer bangla. bangla 2nd paper assignment class 7. Bangla notice com class 7 assignment. ক্লাস সেভেনের বাংলা এসাইনমেন্ট এর উত্তর.

Contents

Class 7 Assignment & Solution For All Subjects 1st Week

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম

গদ্য

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু

কাবুলিওয়ালা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ

যৌক্তিকতা নিরুপণ: 

নিচে উল্লিখিত অংশটি সাধুরীতিতে রচিত। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যৌক্তিকতা তুলে ধর। ‘সংবাদ পাইলাম, কাবুলিওয়ালার সহিত মিনির এই যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতােমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ আসিয়া পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়া মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অনেকটা অধিকার করিয়া লইয়াছে।

 নির্দেশনা 

শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের সহায়তা নিয়ে সাধুরীতির ৪-৫টি বৈশিষ্ট্য লিখবে।

উল্লিখিত পাঠ থেকে সর্বনাম, ক্রিয়াপদ, অব্যয় ও তৎসম শব্দের দৃষ্টান্ত চিহ্নিত করবে।

যৌক্তিকতা সহ উপসংহার লিখবে।

https://upodesh.com/

ক্লাস সেভেনের বাংলা এসাইনমেন্ট এর উত্তর

class-7-bangla-assignment-answer-2021-2-1

class-7-bangla-assignment-answer-2021-1

আমার পাঁচ বছর বয়সের ছােট মেয়ে মিনি এক দণ্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না। সকালবেলায় আমার নভেলের সপ্তদশ পরিচ্ছেদে হাত দিয়াছি এমন সময় মিনি আসিয়াই আরম্ভ করিয়া দিল, “বাবা, রামদয়াল দরােয়ান কাককে কৌয়া বলছিল, সে কিছু জানে না। না ?” সে আমার লিখিবার টেবিলের পার্শ্বে আমার পায়ের কাছে বসিয়া নিজের দুই হাঁটু এবং হাত লইয়া অতিদ্রুত উচ্চারণে আগডুম-বাগডুম খেলিতে আরম্ভ করিয়া দিল। আমার ঘর পথের ধারে। হঠাৎ মিনি আগডুম-বাগডুম খেলা রাখিয়া জানালার ধারে ছুটিয়া গেল এবং | চিৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিল, “কাবুলিওয়ালা, ও কাবুলিওয়ালা।”

ময়লা ঢিলা কাপড় পরা, পাগড়ি মাথায়, ঝুলি ঘাড়ে, হাতে গােটা দুই-চার আঙুরের বাক্স, এক লম্বা কাবুলিওয়ালা পথ দিয়া যাইতেছিল— তাহাকে দেখিয়া আমার কন্যারত্নের কিরূপ ভাবােদয় হইল বলা শক্ত, তাহাকে উর্ধ্বশ্বাসে ডাকাডাকি আরম্ভ করিয়া দিল। মিনির চিৎকারে যেমনি কাবুলিওয়ালা হাসিয়া মুখ ফিরাইল এবং আমাদের বাড়ির দিকে আসিতে লাগিল,

অমনি সে ঊর্ধ্বশ্বাসে অন্তঃপুরে দৌড় দিল, তাহার আর চিহ্ন দেখিতে পাওয়া গেল না। তাহার মনের মধ্যে একটা অন্ধ বিশ্বাসের মতাে ছিল যে, ঐ ঝুলিটার ভিতর সন্ধান করিলে তাহার মতাে দুটো-চারটে জীবিত মানবসন্তান পাওয়া যাইতে পারে । আমি মিনির অমূলক ভয় ভাঙাইয়া দিবার অভিপ্রায়ে তাহাকে অন্তঃপুর হইতে ডাকাইয়া আনিলাম—সে | আমার গা ঘেঁষিয়া দাঁড়াইয়া রহিল। কাবুলি ঝুলির মধ্য হইতে কিসমিস খােবানি বাহির করিয়া তাহাকে দিতে

গেল, সে কিছুতেই লইল না, দ্বিগুণ সন্দেহের সহিত আমার হাঁটুর কাছে সংলগ্ন হইয়া রহিল। প্রথম পরিচয়টা এমনি ভাবে গেল।

কিছুদিন পরে একদিন সকালবেলায় বাড়ি হইতে বাহির হইবার সময় দেখি, আমার দুহিতাটি দ্বারের সমীপন্থ | বেঞ্চির উপর বসিয়া অনর্গল কথা কহিয়া যাইতেছে এবং কাবুলিওয়ালা তাহার পদতলে বসিয়া সহাস্যমুখে শুনিতেছে এবং মধ্যে মধ্যে প্রসঙ্গক্রমে নিজের মতামতও ব্যক্ত করিতেছে। মিনির পঞ্চবর্ষীয় জীবনের অভিজ্ঞতায় বাবা ছাড়া এমন ধৈর্যবান শ্রোতা সে কখনাে পায় নাই। আবার দেখি, তাহার ক্ষুদ্র আঁচল বাদামকিসমিসে পরিপূর্ণ। সংবাদ পাইলাম, কাবুলিওয়ালার সহিত মিনির এই যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতিমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ । আসিয়া পেস্তাবাদাম ঘুষ দিয়া মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অনেকটা অধিকার করিয়া লইয়াছে। | দেখিলাম, এই দুটি বন্ধুর মধ্যে গুটিকতক বাঁধা কথা এবং ঠাট্টা প্রচলিত আছে – যথা, রহমতকে দেখিবামাত্র আমার কন্যা হাসিতে হাসিতে জিজ্ঞাসা করিত, “কাবুলিওয়ালা, ও কাবুলিওয়ালা, তােমার ও ঝুলির ভিতর কী।” রহমত একটা অনাবশ্যক চন্দ্রবিন্দু যােগ করিয়া হাসিতে হাসিতে উত্তর করিত, “হাতি।” উহাদের মধ্যে আরও একটা কথা প্রচলিত ছিল। রহমত মিনিকে বলিত, “খোখী, তােমি সসুরবাড়ি কখুন যাবে

!” কথাটার একটা কোনাে জবাব না দিয়া চুপ করিয়া থাকা নিতান্ত তাহার স্বভাববিরুদ্ধ—সে উটিয়া জিজ্ঞাসা করিত, “তুমি শ্বশুরবাড়ি যাবে ?” রহমত কাল্পনিক শ্বশুরের প্রতি প্রকাণ্ড মােটা মুষ্টি আস্ফালন করিয়া বলিত, “হামি সসুরকে মারবে।” শুনিয়া মিনি শ্বশুর-নামক কোনাে-এক অপরিচিত জীবের দুরবস্থা কল্পনা করিয়া অত্যন্ত হাসিত। মিনির মা অত্যন্ত শঙ্কিত স্বভাবের লােক। রহমত কাবুলিওয়ালা সম্বন্ধে তিনি সম্পূর্ণ নিঃসংশয় ছিলেন না।

No 4

তাহার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিবার জন্য তিনি আমাকে বারবার অনুরােধ করিয়াছিলেন।  একদিন সকালে আমার ছােট ঘরে বসিয়া ফশিট সংশােধন করিতেছি। এমন সময় রাস্তায় ভারি একটা | গােল শুনা গেল ।  চাহিয়া দেখি, আমাদের রহমতকে দুই পাহারাওয়ালা বাঁধিয়া লইয়া আসিতেছে—তাহার পশ্চাতে কৌতূহলী ছেলের দল চলিয়াছে। আমি দ্বারের বাহিরে গিয়া পাহারাওয়ালাকে দাঁড় করাইলাম, জিজ্ঞাসা করিলাম, ব্যাপারটা কী। কিয়দংশ তাহার কাছে, কিয়দংশ রহমতের কাছে শুনিয়া জানিলাম যে, আমাদের প্রতিবেশী একজন লােক রামপুরী চাদরের জন্য রহমতের কাছে কিঞ্চিৎ ধারিত – মিথ্যাপূর্বক সেই দেনা সে অস্বীকার করে এবং তাহাই লইয়া বচসা করিতে করিতে রহমত তাহাকে এক ছুরি বসাইয়া দিয়াছে। রহমত সেই মিথ্যাবাদীর উদ্দেশে নানারূপ অশ্রাব্য গালি দিতেছে, এমন সময় কাবুলিওয়ালা, ও কাবুলিওয়ালা করিয়া ডাকিতে ডাকিতে মিনি ঘর হইতে বাহির হইয়া আসিল। রহমতের মুখ মুহুর্তের মধ্যে কৌতুকহাস্যে প্রফুল্ল হইয়া উঠিল। মিনি একেবারেই তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, | “তুমি শ্বশুরবাড়ির যাবে?” রহমত হাসিয়া কহিল, “সিখানেই যাচ্ছে।” সাংঘাতিক আঘাত করা অপরাধে কয়েক বৎসর রহমতের কারাদণ্ড হইল। তাহার কথা একপ্রকার ভুলিয়া গেলাম। কত বৎসর কাটিয়া গেল। আমার ঘরে আজ রাত্রি শেষ হইতে না হইতে সানাই বাজিতেছে। আজ আমার মিনির বিবাহ। আমি আমার লিখিবার ঘরে বসিয়া হিসাব দেখিতেছি, এমন সময় রহমত আসিয়া সেলাম করিয়া দাঁড়াইল। আমি প্রথমে তাহাকে চিনিতে পারিলাম না। তাহার সে ঝুলি নাই, তাহার সে লম্বা চুল নাই, তাহার শরীরে পূর্বের মতাে সে তেজ নাই। অবশেষে তাহার হাসি দেখিয়া তাহাকে চিনিলাম। কহিলাম, “কী রে রহমত, কবে আসিলি।”  সে কহিল, “কাল সন্ধ্যাবেলা জেল হইতে খালাস পাইয়াছি।” আমার ইচ্ছা করিতে লাগিল, আজিকার এই শুভদিনে এ লােকটা এখান হইতে গেলেই ভালাে হয়। আমি তাহাকে কহিলাম, “আজ আমাদের বাড়িতে একটা কাজ আছে, আমি কিছু ব্যস্ত আছি, তুমি আজ যাও।” কথাটা শুনিয়াই সে তৎক্ষণাৎ চলিয়া যাইতে উদ্যত হইল, অবশেষে দরজার কাছে গিয়া একটু ইতস্তত করিয়া কহিল, “খোখীকে একবার দেখিতে পাইব না ?” আমি কহিলাম, “আজ বাড়িতে কাজ আছে, আজ আর কাহারও সহিত দেখা হইতে পারিবে না।” সে যেন কিছু ক্ষুন্ন হইল। স্তব্ধভাবে দাঁড়াইয়া একবার স্থিরদৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে চাহিল, তার পরে বাবু | সেলাম’ বলিয়া দ্বারের বাহির হইয়া গেল।

আমার মনে কেমন একটু ব্যথা বােধ হইল। মনে করিতেছি তাহাকে ফিরিয়া ডাকিব, এমন সময়ে দেখি | সে আপনি ফিরিয়া আসিতেছে।

কাছে আসিয়া কহিল,“এই আঙুর এবং কিঞ্চিৎ কিসমিস বাদাম খোখীর জন্য আনিয়াছিলাম, তাহাকে দিবেন।” আমি সেগুলি লইয়া দাম দিতে উদ্যত হইলে সে হঠাৎ আমার হাত চাপিয়া ধরিল, কহিল, “আপনার বহু দয়া, আমার চিরকাল স্মরণ থাকিবে আমাকে পয়সা দিবেন না। বাবু, তােমার যেমন একটি লড়কি আছে, তেমনি | দেশে আমারও একটি লড়কি আছে আমি তাহারই মুখখানি স্মরণ করিয়া তােমার খোখীর জন্য কিছু কিছু মেওয়া হাতে লইয়া আসি, আমি তাে সওদা করিতে আসি না।” | এই বলিয়া সে আপনার মস্ত ঢিলা জামাটার ভিতর হাত চালাইয়া দিয়া বুকের কাছে কোথা হইতে এক টুকরা ময়লা কাগজ বাহির করিল। বহু সযত্নে ভাঁজ খুলিয়া দুই হস্তে আমার টেবিলের উপর মেলিয়া ধরিল। দেখিলাম, কাগজের উপর একটি ছােট হাতের ছাপ। ফটোগ্রাফ নহে, তেলের ছবি নহে, হাতে খানিকটা ভুষা মাখাইয়া কাগজের উপরে তাহার চিহ্ন ধরিয়া লইয়াছে। কন্যার এই স্মরণচিহ্নটুকু বুকের কাছে লইয়া রহমত প্রতিবৎসর কলিকাতার রাস্তায় মেওয়া বেচিতে আসে। দেখিয়া আমার চোখ ছলছল করিয়া আসিল। সেই হস্তচিহ্ন আমারই মিনিকে স্মরণ করাইয়া দিল। আমি তৎক্ষণাৎ তাহাকে অন্তঃপুর হইতে ডাকাইয়া পাঠাইলাম। অন্তঃপুরে ইহাতে অনেক আপত্তি উঠিয়াছিল। কিন্তু আমি কিছুতে কর্ণপাত করিলাম না। রাঙাচেলি-পরা কপালে-চন্দন-আঁকা বধূবেশিনী মিনি সলজ্জভাবে আমার কাছে আসিয়া দাঁড়াইল। তাহাকে দেখিয়া কাবুলিওয়ালা প্রথমটা থতমত খাইয়া গেল, তাহাদের পুরাতন আলাপ জমাইতে পারিল না। অবশেষে হাসিয়া কহিল, “খোখী, তােমি সসুরবাড়ি যাবিস ?”

https://upodesh.com/

I Boss Host BD